বাংলা হাসির গল্প পড়তে কে না ভালোবাসে? আজ আমরা নিয়ে এসেছি একেবারে মজার গল্প—বিপিনবাবু আর কথা বলা ছাগল। এই গল্প পড়ে আপনি হেসে গড়াগড়ি খাবেন। আমার গল্পের অনুপ্রেরণা।
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Comedy_in_India
বিপিনবাবু কে?
এটি আমার সৃষ্বি একটি মজার চরিত্র। বিপিনবাবু একেবারে দারুণ চরিত্র। বড়ো চশমা, গোল পেট আর চারদিকে অকারণে উপদেশ দেওয়া—এটাই তাঁর স্বভাব। কিন্তু একদিন বাজারে গিয়ে তাঁর জীবনে ঘটে গেল অদ্ভুত এক ঘটনা ।

বিপিনবাবুর ছাগল
বিপিনবাবু পঞ্চাশ পেরোনো ভদ্রলোক। চশমা এত বড়ো যে যেন জানালার কাচ, পেট এত গোল যে দেখে লোকে বলে, “এটা পেট, না পাম্প করা ফুটবল?” আর তাঁর অভ্যাস হলো আশেপাশের যে কাউকে অকারণে উপদেশ দেওয়া।এক রবিবার সকালে স্ত্রী হুকুম দিলেন—“শুনছো, বাজার থেকে শুধু আলু আর পেঁয়াজ নিয়ে এসো, বুঝলে? আর বাড়তি খরচ একদম করবে না।
”বিপিনবাবু বীরের মতো ঝোলা হাতে বাজারে গেলেন। হঠাৎই চোখে পড়লো—একটা ছাগল বাঁধা আছে, দিব্যি পালং শাক চিবোচ্ছে। দোকানি হাঁক মারলো—“স্পেশাল ছাগল! মাত্র দুই হাজার টাকা!”বিপিনবাবু অবাক—“কেন? রান্না করে নাকি?”দোকানি হেসে বললো, “এটা কিন্তু কথা বলে।”বিপিনবাবু হেসে লুটোপুটি—“ছাগল কথা বলে! কালকে বলবে ছাগল আইএএস পরীক্ষা দিচ্ছে!” ঠিক তখনই ছাগলটা মুখ ঘুরিয়ে বললো—“আররে বাবু, আমায় কিনে নাও, লটারি নম্বর বলে দেব।”বিপিনবাবুর চশমা প্রায় নাক থেকে পড়ে যাচ্ছিল।
যেভাবেই হোক দরাদরি করে ৫০০ টাকায় ছাগল কিনে টেনে হিঁচড়ে বাড়ি নিয়ে এলেন।স্ত্রী দরজা খুলেই চেঁচালেন—“আলু-পেঁয়াজ কোথায়? আর এ আবার কী আনলে?”ছাগল গম্ভীর গলায় উত্তর দিলো—“মাসিমা, বাঁধাকপি দিলে আমি রান্নায় সাহায্য করবো।”এরপর থেকে বিপিনবাবু ছাগলটাকে পাড়া-প্রতিবেশীর সামনে নিয়ে গিয়ে দম্ভভরে বলতেন, “আমার ছাগল রাজনীতি বোঝে, ক্রিকেটের স্কোর জানে, এমনকি কে চটি চুরি করেছে তাও ধরে ফেলতে পারে!” ছাগল মাথা নাড়তো, লোকজন হাততালি দিতো।
বিপিনবাবু নিজেকে মহারাজা মনে করতেন।একদিন ক্লাবে নিয়ে গিয়ে ঘোষণা করলেন—“আজ আমার ছাগল আগামীকালের আবহাওয়া জানাবে।” সবাই ভিড় জমালো। ছাগল একদম চুপ। কানের কাছে ফিসফিস করে বললেন, “বল না কিছু!” ছাগল হঠাৎ একবার ডেকে উঠলো—“ম্যাআআআআআ!”ভিড় হেসে গড়াগড়ি “বিপিন, তোমার ছাগল তো বাইরে আসতে লজ্জা পায়, ঠিক তোমার স্কুলজীবনের মতো!”রেগে গিয়ে বিপিনবাবু ছাগলটাকে নাড়াতে গিয়ে কলার খোসায় পিছলে ধপাস করে পড়লেন। চশমা উড়ে গিয়ে কারও চায়ের কাপে পড়লো।
ঠিক তখনই স্ত্রী এসে হাজির, ছাগল আর স্বামী দুজনকেই টেনে নিয়ে যেতে যেতে বললেন—“কথা বলার ছাগল কিনেছো? এবার সেটা দিয়ে হাসপাতালে তোমার বিলের হিসেব মেটাও!”সেদিন থেকে পাড়ায় আর কেউ তাঁকে জ্ঞানী ভদ্রলোক বলে ডাকেনি। সবার মুখে একটাই নাম—“ছাগলবাবু বিপিন।”
আমাদের অন্য গল্প

2 thoughts on “Comedy story বিপিনবাবুর ছাগল”