Bengali short story -পুরনো মন্দিরে প্রত্যাবর্তন

পুরনো মন্দিরে প্রত্যাবর্তন bengali short story er মধ্যে লুকিয়ে আছে এমন এক কাহিনী, যা প্রাচীন ভারতীয় তন্ত্রশাস্ত্রের গভীরে পাঠককে নিয়ে যায়। এই বাংলা ছোটগল্পে আমরা দেখি কিভাবে একজন অধ্যাপক একটি গোপন মন্ত্রের সন্ধান পেয়ে মুখোমুখি হন তান্ত্রিক দেবতা কালভৈরবের। শক্তি, সাহস, ও সত্যের সন্ধানে আত্মার যাত্রা কেমন হতে পারে, তারই অলৌকিক প্রতিচ্ছবি ফুটে ওঠে এই গল্পে।

Short bengali style picture of Rudra Pratap

অধ্যায় ১: পুরনো মন্দিরে প্রত্যাবর্তন

রুদ্রপ্রতাপ একজন সংস্কৃত সাহিত্যের অধ্যাপক। হঠাৎ এক পুরনো তাম্রপত্রে খুঁজে পান একটি রহস্যময় মন্ত্র—“যে পড়ে এই মন্ত্র, সে পাবে কালভৈরবের দর্শন; তবে তার আত্মা হতে হবে নির্ভয়, নিঃস্ব ও নির্লোভ।”

তিনি ছুটি নিয়ে চলে যান মেদিনীপুরের এক জঙ্গলে অবস্থিত ‘ভয়মোচনেশ্বর’ নামক এক পরিত্যক্ত মন্দিরে।

অধ্যায় ২: মন্ত্রোচ্চারণ ও বিকৃত সময়

মন্দিরের ভিতর বসে তিনি মন্ত্রটি উচ্চারণ করেন। চারপাশে অন্ধকার ঘনিয়ে আসে, বাতাস থেমে যায়, ঘড়ির কাঁটা চলতে থাকে উল্টো দিকে।এক অলৌকিক কণ্ঠস্বর ভেসে আসে—“তুমি কি সত্যকে গ্রহণ করতে প্রস্তুত?”রুদ্রপ্রতাপ দৃঢ় কণ্ঠে বলেন, “হ্যাঁ।” .

অধ্যায় ৩: কালভৈরবের দর্শন

অন্ধকার ফেটে আলো বেরিয়ে আসে। সেখানে ফুটে ওঠে কালভৈরবের বিশাল মূর্তি—ত্রিনয়ন, হাতে খড়্গ, গলায় করোটির মালা।তিনি বলেন—“শক্তি চাইলে, আত্মা চাই বিসর্জন। দেহে যদি লোভ থাকে, ফিরে যেও না।”রুদ্রপ্রতাপ বলেন—“আমি শুধু জ্ঞান চাই, মোক্ষ চাই। কোনো পার্থিব শক্তি নয়।”

অধ্যায় ৪: প্রথম পরীক্ষা — ইন্দ্রিয়-জয়

রুদ্রপ্রতাপ একটি বিভ্রমে পড়েন। নিজেকে দেখতে পান এক রাজপ্রাসাদের রাজা হিসেবে—সামনে সিংহাসন, নারীসঙ্গ, সোনা-মাণিক্য।তিনি চোখ বন্ধ করে বলেন, “সবই মায়া।”পরীক্ষা সফল। কালভৈরব বলেন—“প্রথম গেট খোলার অনুমতি দিলাম।”

অধ্যায় ৫: দ্বিতীয় পরীক্ষা মৃত্যুভয় :

এবার রুদ্রপ্রতাপ দেখে নিজেকে এক চিতায় শুয়ে আছে। আগুনে দগ্ধ হচ্ছে শরীর।মুহূর্তের জন্য তার মধ্যে ভয় আসে, কিন্তু তিনি জপ করেন—“ওঁ ভৈরবায় মৃত্যুঞ্জয়ায় নমঃ।”ভয় কেটে যায়। চিতা নিভে যায়। কালভৈরব বলেন—“তুমি মৃত্যুকে জয় করলে। শেষ দ্বার উন্মুক্ত।” .

অধ্যায় ৬: তত্ত্বজ্ঞান ও ভবিষ্যৎ :

কালভৈরব তৃতীয় চোখ খুলে তাঁকে ভবিষ্যৎ দেখান—প্রযুক্তির দাসত্ব, আত্মাহীনতা, মানবজাতির আত্মবিস্মৃতি।তিনি বলেন—“তুমি হবে ‘অদ্বৈত মন্ত্রের বাহক’। তোমার জ্ঞান দিয়ে মানুষকে সতর্ক করো।”

রুদ্রপ্রতাপ কলকাতায় ফিরে আসেন। কেউ জানে না, সে কী দেখেছে।কিন্তু তিনি লেখেন একটি বই—“তান্ত্রিক সময়ের রূপকথা”, যাতে লুকিয়ে আছে সেই প্রাচীন মন্ত্র, সেই অভিজ্ঞতা, এবং এক জাগরণের ডাক।

আমাদের অন সমস্ট মজার গল্প :

https://bangla.riseofthetimelords.com/%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%99%e0%a6%b2%e0%a6%be-%e0%a6%9b%e0%a7%8b%e0%a6%9f-%e0%a6%97%e0%a6%b2%e0%a7%8d%e0%a6%aa-%e0%a6%b6%e0%a6%b9%e0%a6%b0%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%9b%e0%a6%be%e0%a6%af%e0%a6%bc/

1 thought on “Bengali short story -পুরনো মন্দিরে প্রত্যাবর্তন”

Leave a Comment

error: Content is protected !!