ভালোবাসার চিঠি: এক অমলিন প্রেমকাহিনী

প্রেম মানেই একঘেয়ে রোমান্স নয়, প্রেম মানে ভরসা, অপেক্ষা আর বিশ্বাস। এই গল্পটা তারই প্রমাণ। আপনি যদি ভালোবাসেন, তাহলে সাহস রাখুন ভালোবাসা প্রকাশ করার, কারণ এক মুহূর্তেই বদলে যেতে পারে জীবন।

অংশ ১: প্রথম দেখা

নদীর ধারে সেই বিকেলের কথাটা আজও মনে আছে রাহুলের। গোধূলি আলোয় স্নিগ্ধ মুখটার দিকে তাকিয়ে থাকতে গিয়েই তার মনে হয়েছিল, “এই মানুষটাই হয়তো আমার আপন।”সে ছিল অনন্যা। শান্ত, মুগ্ধ করা হাসি আর বইয়ের পৃষ্ঠায় হারিয়ে থাকা এক মেয়ে, যার চোখে ছিল এক পৃথিবী।সেদিন কথাও হয়নি, কিন্তু রাহুল ঠিক করেছিল—এই ভালো লাগা একদিন ভালোবাসায় রূপ নেবেই।

অংশ ২: বন্ধুত্বের বাঁধনে

পরের কয়েক মাসে রাহুল ও অনন্যার মধ্যে এক বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। বই পড়া, গান শোনা, চুপচাপ বসে থাকা—সব কিছুতেই যেন একটা নিরব যোগাযোগ তৈরি হচ্ছিল।রাহুল ধীরে ধীরে বুঝতে পারছিল, সে শুধু অনন্যার পাশে থাকতে চায়, কোনো প্রতিদান নয়, শুধু অনুভব।একদিন হঠাৎ করেই অনন্যা বলে বসে,”তুই আমার সবচেয়ে আপন মানুষ হয়ে উঠেছিস রাহুল।”আর সে মুহূর্তেই রাহুল বুঝেছিল—তার অপেক্ষার সূচনা নয়, শেষ হয়েছে।

অংশ ৩: বাস্তবের ধাক্কা

ভালোবাসার পথে সব কিছুই কিন্তু সহজ হয় না। অনন্যার পরিবার চায়নি সে রাহুলের সঙ্গে সম্পর্ক রাখুক—তাদের সামাজিক অবস্থানের ফারাক, পেশাগত অনিশ্চয়তা এসব কারণেই।কিন্তু রাহুল হাল ছাড়েনি। সে নিজেকে গড়ে তুলেছে, নিজের পায়ে দাঁড়িয়েছে।আর ঠিক সেই সময়ে, এক চিঠি এসেছিল রাহুলের কাছে—অনন্যার লেখা।”আমরা হয়তো অনেকটা দেরি করে ফেলেছি, কিন্তু ভালোবাসা কখনো দেরি করে না। আমি অপেক্ষা করব, যদি তুই থাকিস।”

অংশ ৪: ফিরে পাওয়া

আজ তাদের বিয়ের পাঁচ বছর। এখনো বিকেলে নদীর ধারে তারা হাঁটতে যায়। রাহুল মাঝেমধ্যে মজা করে বলে,”তোর সেই প্রথম হাসিটাই আমার জীবনের সেরা প্রাপ্তি।”অনন্যা হেসে বলে,”আর তোর সেই চিঠির জন্যই আমি জানতাম, আমাদের গল্পটা অসম্পূর্ণ থাকবে না।”

আপনার ভালোবাসার গল্পটা কেমন? মন্তব্যে জানাতে ভুলবেন না। ❤️

1 thought on “ভালোবাসার চিঠি: এক অমলিন প্রেমকাহিনী”

Leave a Comment

error: Content is protected !!