গ্রামের একটি সাধারণ ছেলে কালকেতু। অন্য সবার মতোই স্কুলে যায়, খেলাধুলা করে, বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দেয়। কিন্তু তার একটি গোপন রহস্য ছিল—সে ছোটবেলা থেকেই ভূত দেখতে পেত। প্রথমে সে ভাবত, হয়তো সব ছেলেমেয়েই এগুলো দেখে। কিন্তু একদিন রাতের বেলা বাঁশবনের ভেতর দিয়ে হাঁটার সময় সে দেখল, সাদা ধবধবে পোশাক পরা এক বৃদ্ধ ভেসে যাচ্ছে মাটির ওপরে। সঙ্গে সঙ্গে সে দৌড়ে বাড়ি চলে এলো। পরে বুঝতে পারল, ভূত দেখা তার একান্তই নিজস্ব ক্ষমতা ।
our facebook page for more stories https://www.facebook.com/profile.php?id=61578486594004
বন্ধুত্ব এক অদ্ভুত আত্মার সঙ্গে
কিছুদিন পর কালকেতু আর ভয় পেল না। বরং ভূতদের সঙ্গে কথাবার্তা বলা শুরু করল। বিশেষ করে একজন ভূত, নাম ছিল হরিপদ। জীবিত অবস্থায় হরিপদ ছিলেন গ্রামেরই এক বৃদ্ধ শিক্ষক। তিনি কালকেতুকে পড়াশোনার টিপস দিতেন, গ্রামের পুরোনো ইতিহাস শোনাতেন। ধীরে ধীরে কালকেতুর মনে হলো, সব ভূত খারাপ নয়। কেউ কেউ মানুষের সাহায্য করতে চায়। হরিপদের সাহায্যে সে পরীক্ষায় ভালো করতে শুরু করল এবং গ্রামের ইতিহাস নিয়েও নতুন অনেক তথ্য জানল।

কালকেতুর দায়িত্ব
কিন্তু সবাই যে বন্ধুত্বপূর্ণ, তা নয়। এক রাতে একটি দুষ্ট আত্মা গ্রামে হুলস্থুল শুরু করল। গরু-বাছুর ভয় পেয়ে দৌড়াচ্ছে, মানুষ আতঙ্কিত। তখন কালকেতু বুঝল, তার এই ক্ষমতা কেবল মজা নয়, দায়িত্বও বটে। হরিপদ ভূতের পরামর্শে সে মন্ত্র পড়ল, আর দুষ্ট আত্মাকে শান্ত করল। সেদিন থেকেই গ্রামবাসীরা তাকে অন্য চোখে দেখতে লাগল।কালকেতু জানল, তার এই বিশেষ চোখ তাকে ভয় নয়, বরং শক্তি দিয়েছে—যা দিয়ে সে জীবিত মানুষ আর মৃত আত্মা, উভয়ের উপকার করতে পারবে।
আমাদের অন্য গল্প : মধ্যরাতের ট্রেন

Ami aro boro golpo chai
Thik ache