এটি এক নারীর পরকীয়া গল্পের পঞ্চম পর্ব।গ্রাম ছেড়ে অর্ণবের সঙ্গে পালিয়ে আসার পর মিতালির জীবন একদম বদলে গেল। দারিদ্র্য, সংসারের কলহ আর গ্রামের সীমাবদ্ধতা পেছনে ফেলে সে এখন এক অজানা শহরের ঝলমলে দুনিয়ায়। প্রথম কয়েকদিন অর্ণব তাকে শহরের নানা জায়গায় নিয়ে ঘুরল—শপিং মল, উজ্জ্বল রেস্তোরাঁ, আর রঙিন রাতের জীবন।মিতালির মনে হচ্ছিল সে যেন কোনো স্বপ্নের মধ্যে বাস করছে।
কিন্তু এখনও তার ভেতরের অস্থিরতা থামেনি। অর্ণবের ভালোবাসা, শহরের চাকচিক্য এবং নিষিদ্ধ সম্পর্কের উত্তেজনা তাকে টানছিল একদিকে, আর অজানা এক ভয় কুরে কুরে খাচ্ছিল অন্যদিকে।এই অধ্যায়ে দেখা যাবে মিতালি কিভাবে অর্ণবের নতুন জগতে নিজেকে খাপ খাওয়ানোর চেষ্টা করে এবং প্রেম, কামনা আর দ্বন্দ্বের এক জটিল খেলায় জড়িয়ে

স্বপ্নের শহরে প্রথম সকাল
গাড়ি শহরে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে মিতালির চোখ যেন অবাক বিস্ময়ে বড় হয়ে গেল। উঁচু উঁচু ভবন, রঙিন আলো, অজস্র গাড়ির শব্দ—এ যেন অন্য এক জগৎ। এতদিন সে শুধু কল্পনায় শহরের কথা শুনেছে, কিন্তু আজ নিজ চোখে দেখে তার শ্বাস যেন বন্ধ হয়ে এলো।
অর্ণব মুচকি হেসে বলল,— “এটাই তোমার নতুন পৃথিবী, মিতালি। এখানে কেউ তোমার অতীত জানে না, তুমি এখানে একেবারে নতুন করে শুরু করবে।”অর্ণব তাকে নিয়ে এক বিলাসবহুল ফ্ল্যাটে ঢুকল। নরম সোফা, ঝকঝকে কাঁচের জানালা, এয়ার কন্ডিশনের ঠান্ডা বাতাস—সবকিছুই মিতালির কাছে স্বপ্নের মতো লাগছিল।
সে দ্বিধাহীন চোখে চারপাশে তাকাল। অর্ণব তার কাঁধে হাত রেখে ফিসফিস করে বলল,— “এখন কিছুদিন এখানে বিশ্রাম নাও। আমি চাই তুমি শহরটাকে চিনতে শেখো।”প্রথম কয়েকদিন অর্ণব মিতালিকে শহরের নানা জায়গায় ঘুরতে নিয়ে গেল। কখনো তারা বড় বড় শপিং মল, কখনো রঙিন পার্ক, আবার কখনো উজ্জ্বল আলোয় ভরা রেস্তোরাঁ।
প্রতিটি মুহূর্তে মিতালির মনে হচ্ছিল সে যেন কোনো সিনেমার নায়িকা। অর্ণব সবসময় তার হাত ধরে রাখত, যেন তাকে আশ্বাস দিচ্ছিল—সে একা নয়।এক সন্ধ্যায়, শহরের এক উঁচু ছাদে দাঁড়িয়ে তারা দুজনে নিচের ঝলমলে আলো দেখছিল। হালকা বাতাস মিতালির চুল উড়িয়ে দিচ্ছিল। অর্ণব ধীরে ধীরে তার কাছে এসে তার কোমরে হাত রাখল।
মিতালির শরীর কেঁপে উঠল।— “মিতালি, তুমি জানো না, তোমাকে কতটা চাই আমি…” — অর্ণবের কণ্ঠ ছিল গভীর ও আবেগময়।সে মিতালির ঠোঁটে তার ঠোঁট রাখল। মুহূর্তেই মিতালি সমস্ত দ্বিধা ভুলে গেল। তাদের চুম্বন ধীরে ধীরে গভীর হয়ে উঠল—প্রথমে মৃদু স্পর্শ, তারপর তীব্র উন্মাদনা। অর্ণবের হাত তার পিঠ বেয়ে নামতে লাগল, আর মিতালি চোখ বন্ধ করে নিজেকে সম্পূর্ণভাবে সঁপে দিল তার বাহুডোরে।
সেই রাতেই তারা প্রথমবারের মতো একে অপরের কাছে সম্পূর্ণ হল।পরদিন সকালে মিতালি ঘুম থেকে উঠে অর্ণবের মুখের দিকে তাকাল। তার হৃদয় ভরে উঠল অদ্ভুত এক ভালোবাসা ও স্বপ্নে।
কিন্তু মনে মনে এক অজানা প্রশ্নও কুরে কুরে খাচ্ছিল তাকে—“এই ঝলমলে শহর আর অর্ণবের আলিঙ্গন কি সত্যিই আমার মুক্তি, নাকি এক নতুন শিকল?”অর্ণব তখনও ঘুমাচ্ছিল, আর মিতালি জানালার বাইরে তাকিয়ে দেখল শহরটা যেন তাকে নতুন গল্প শোনাতে প্রস্তুত।
Check out this channel to know further :