এক নারীর পরকীয়া

এক নারীর পরকীয়া” গল্পের প্রথম দুই পর্বে আমরা দেখেছি মিতালির নীরস সংসার এবং অর্ণবের প্রলোভনে তার ধীরে ধীরে জড়িয়ে পড়া। দ্বিতীয় পর্বে, অর্ণবের ধন-সম্পদের মোহ এবং শহুরে আভিজাত্যে

দ্বিতীয় পর্ব

https://bangla.riseofthetimelords.com/%e0%a6%8f%e0%a6%95-%e0%a6%a8%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a7%80%e0%a6%b0-%e0%a6%aa%e0%a6%b0%e0%a6%95%e0%a7%80%e0%a6%af%e0%a6%bc%e0%a6%be-%e0%a6%a6%e0%a7%8d%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%a4%e0%a7%80%e0%a6%af/

এই তৃতীয় পর্বে, স্বামীর সঙ্গে প্রবল তর্কর পর আমরা দেখবো মিতালির জীবন । এখনো জানে না—অর্ণবের মধুর প্রতিশ্রুতির আড়ালে লুকিয়ে আছে এমন এক অন্ধকার সত্য, যা তার জীবনকে চিরতরে পাল্টে দিতে পারে।

এক নারীর পরকীয

(নিষিদ্ধ আগুন)

সারারাত তর্ক-বিতর্কের পর ক্লান্ত মিতালি খাটে বসে ছিল। রণজয় একপাশে ঘুমিয়ে পড়লেও মিতালির চোখে ঘুম আসছিল না। ধীরে ধীরে, তার ভেতরে জমে থাকা ক্ষোভ অর্ণবের মায়াবী কথার সঙ্গে মিশে এক অদ্ভুত আকর্ষণে রূপ নিল।

অবশেষে, ভোরের আলো ফোটার আগেই সে মনে মনে সিদ্ধান্ত নিল—সে আর এই ঘর বাঁধা জীবনে থাকতে পারবে না।সকাল হলে, কোনো কথা না বলেই মিতালি শাড়ি গুছিয়ে বেরিয়ে গেল। পুকুরপাড়ের ধুলোভরা পথ পেরিয়ে সে পৌঁছাল অর্ণবের ভাড়া করা দোতলায়। দরজার সামনে দাঁড়াতেই বুক কাঁপতে লাগল।অর্ণব দরজা খুলে মিতালিকে দেখে অবাক হলো, তারপর এক রহস্যময় হাসি দিয়ে বলল,— “অবশেষে তুমি এলে, মিতালি… আমি জানতাম তুমি আসবেই।”

এক নারীর পরক্রিয়া গল্পে মিতালী এবং অর্ণব

মিতালি কাঁপা গলায় জবাব দিল,— “আমি… আমি তোমার প্রস্তাবে রাজি। আমাকে এই দুঃখের জীবন থেকে বের করে নাও।”অর্ণব ধীরে ধীরে তার হাত ধরে টেনে নিল ভেতরে। ঘরের ভেতর অল্প আলো, জানালা দিয়ে হালকা বাতাস ঢুকছে। তাদের চোখ একে অপরের সঙ্গে মিশে গেল। সেই মুহূর্তে সব বাধা, সব ভয় যেন মিলিয়ে গেল। অর্ণব আলতো করে মিতালির মুখ স্পর্শ করল, আর মিতালি অবচেতনভাবে চোখ বন্ধ করল।

তাদের ঠোঁট ধীরে ধীরে মিলিত হলো—এক নিষিদ্ধ আকাঙ্ক্ষার আগুনে ভরা চুম্বনে। প্রথমে তা ছিল নরম, কাঁপা কাঁপা, কিন্তু ক্রমে তা গভীর হলো, যেন তারা বহুদিনের জমে থাকা শূন্যতা পূরণ করছে। মিতালির শ্বাস দ্রুত হতে লাগল, অর্ণবের বাহু তাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরল।

সেই চুম্বনে ছিল আবেগ, হতাশা এবং মুক্তির এক তীব্র আকুলতা, যা তাদের দুজনকেই মুহূর্তের জন্য পৃথিবী ভুলিয়ে দিল।চুম্বন শেষে মিতালি হাপাতে হাপাতে অর্ণবের কাঁধে মাথা রাখল।সে ফিসফিস করে বলল,— “এখন আমি শুধুই তোমার, অর্ণব। আমাকে আর কখনো ছেড়ে যেও না।”অর্ণবের চোখে এক রহস্যময় দীপ্তি ফুটে উঠল।— “আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, মিতালি। তোমার জন্য এমন এক জগৎ তৈরি করব যেখানে কষ্টের কোনো স্থান থাকবে না।”

মিতালি তখনো বুঝতে পারেনি—এই প্রতিশ্রুতির আড়ালে লুকিয়ে আছে এমন এক অন্ধকার, যা তার জীবনকে চিরতরে বদলে দেবে।

Checkout :

https://en.wikipedia.org/wiki/Kabhi_Alvida_Naa_Kehna

Leave a Comment

error: Content is protected !!