এক নারীর পরকীয়া:অগ্নিপথে প্রেম:

এটি “এক নারীর পরকীয়া” গল্পের চতুর্থ পর্ব। এখন, মিতালি শুধু প্রেমে পড়েনি, সে পরকীয়া-র গভীর অন্ধকারে পা রেখেছে। নিজের ঘর, স্বামী, সামাজিক মর্যাদা সবকিছুকে পিছনে ফেলে সে দৌড়াচ্ছে এমন এক অজানা জীবনের দিকে, যা তাকে হয়তো মুক্তি দেবে, হয়তো ধ্বংস করবে। এই গল্প সেই নারীর, যে নিষিদ্ধ প্রেমে জড়িয়ে নিজের ভাগ্যের সঙ্গে লড়াই করছে ।

তৃতীয় পর্ব: https://bangla.riseofthetimelords.com/%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%b2%e0%a6%95%e0%a7%87%e0%a6%a4%e0%a7%81/

পরকীয়া তে আপ্লুত মালতি

অগ্নিপথে প্রেম

মিতালি যেন আর এক মুহূর্তও এই গ্রামে থাকতে পারছিল না। রণজয়ের সঙ্গে প্রতিদিনের তর্ক-বিতর্ক বেরে যায়। দারিদ্র্যের বোঝা আর অর্ণবের প্রতি তার অদম্য আকর্ষণ তার রাতের ঘুম কেরে নিয়ে ছিল। দিন সব মিলিয়ে সে ভেতর থেকে ভেঙে পড়ছিল। অবশেষে, এক গভীর রাতে সিদ্ধান্ত নিল, সে অর্ণবের সঙ্গে পালিয়ে যাবে, সবকিছু ছেড়ে।

সেই রাতে আকাশে ছিল অন্ধকার, মাঝে মাঝে মেঘের ফাঁক দিয়ে চাঁদের আলো দেখা যাচ্ছিল। রণজয় ক্লান্ত শরীরে গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন। মিতালি ধীরে ধীরে উঠল, বুকের ভেতর ধপধপ শব্দ হচ্ছিল। প্রথমে সে হাতের কাছে রাখা ছোট ব্যাগে কিছু কাপড়, একটু গয়না আর সঞ্চিত সামান্য টাকা গুছিয়ে নিল।

তারপর ঘরের কোণায় শেষবারের মতো চারপাশে তাকইয়ে দেখল।যেখানে এতদিন সে সুখের আশায় বসবাস করেছে। চোখে জল এসে গেল, কিন্তু তবুও সে নিজেকে শক্ত করল।পথে বেরিয়ে এসে মিতালি পুকুরপাড়ের দিকে হাঁটল। রাতের অন্ধকারে গ্রামের কুকুরের ডাক শুনে তার হৃদয় কেঁপে উঠল। অর্ণব প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, সে গাড়ি নিয়ে পুকুরপাড়েই অপেক্ষা করবে। দূরে গাড়ির হেডলাইটের আলো দেখে মিতালির বুক ধুকপুক করে উঠল।

অর্ণব গাড়ির দরজা খুলে হাসিমুখে বলল,— “এসেছো অবশেষে, মিতালি! এখন থেকে আমাদের নতুন জীবন শুরু হবে।”মিতালি কোনো কথা বলতে পারল না, শুধু মাথা নেড়ে সম্মতি দিল। গাড়ি চলতে শুরু করল গ্রামের সীমানা ছাড়িয়ে শহরের পথে। জানালার বাইরে ধীরে ধীরে মিলিয়ে যাচ্ছিল গ্রাম, তার অতীত, তার পুরোনো জীবন।

গাড়ির ভেতর অর্ণব মিতালির হাত ধরে দৃঢ়ভাবে বলল,— “আমার ওপর ভরসা রাখো। আমি তোমাকে এমন জগৎ দেখাব, যা তুমি কখনো স্বপ্নেও ভাবোনি।”মিতালি তার দিকে তাকাল। অর্ণবের চোখে ছিল এক রহস্যময় দীপ্তি। তার হৃদয় একদিকে অর্ণবের প্রতি ভালোবাসায় ভরে উঠল । অন্যদিকে ভেতরে ভেতরে এক অজানা ভয়ও জন্ম নিল।

এদিকে, ভোর হওয়ার আগেই রণজয় ঘুম ভেঙে দেখে ঘর খালি। মিতালির শাড়ি, গয়না, টাকা—সব উধাও। সে দিশেহারা হয়ে চারপাশে খুঁজতে লাগল। গ্রামের লোকজন জেগে উঠে হৈচৈ শুরু করল। কেউ কেউ বলল,— “মিতালি নিশ্চয়ই সেই শহুরে লোকের সঙ্গে পালিয়েছে!”রণজয়ের রাগে চোখ লাল হয়ে উঠল।— “আমি মিতালিকে খুঁজে বের করব! সেই লোকটার সর্বনাশ করব!”

এদিকে, গাড়ির জানালা দিয়ে মিতালি যখন শেষবারের মতো নিজের গ্রামকে অদৃশ্য হতে দেখছিল। তার মনে প্রশ্ন জাগল—“আমি কি সত্যিই মুক্তি পাচ্ছি, নাকি নতুন এক অন্ধকারে ঝাঁপ দিচ্ছি?”অর্ণবের হাতের দৃঢ় চাপই ছিল তার একমাত্র সান্ত্বনা, কিন্তু সেই চাপের ভেতরে লুকিয়ে ছিল এক ভয়ঙ্কর রহস্য যা মিতালির কল্পনাতেও ছিল না।

আমাদের অন্য মজার গল্প :

কমেডি কিং বিপিনবাবু

https://bangla.riseofthetimelords.com/comedy-story-%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%aa%e0%a6%bf%e0%a6%a8%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%ac%e0%a7%81%e0%a6%b0-%e0%a6%9b%e0%a6%be%e0%a6%97%e0%a6%b2/

check out:

http://Extramarital sex – Wikipedia https://share.google/imkDwxh1yQlycl6bm

Leave a Comment

error: Content is protected !!